দোহারে কলেজ শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের। এজাহারভুক্ত ৯জন,আরোও অজ্ঞাত ৭/৮জন

মাহবুবুর রহমান টিপু, দোহার(ঢাকা)প্রতিনিধি:

দোহার উপজেলায় কলেজ শিক্ষার্থী মো.ফয়সাল হোসেন(১৭)কে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দোহার থানা পুলিশ ৯ জন কে এজাহারভুক্ত আসামী ও আরোও ৭/৮ জন অজ্ঞাতনামা করে ৩০২/৩৪ দ:বি:মামলা রুজু করেন।আসামীরা হলেন শ্রীনগর উপজেলার বরিবরখোলা গ্রামের খবির উদ্দিনের ছেলে আলামিন(২০) ও ইকবাল(২৪),সিদ্দিক মোল্লার ছেলে আশরাফুল(১৯) ও সোলায়মান(২৪),মজিদ খানের ছেলে ইউপি সদস্য মালেক মেম্বার(৪০),রমিজ উদ্দিনের ছেলে মমিন(৪০) ও শাওন(৪৭),শেখ নান্নুর ছেলে রুবেল(২৩),সাত্তার খানের ছেলে মাসুদ(৩০)। গত বুধবার থেকেই অভিযুক্ত সবাই আতœগোপনে রয়েছেন বলে জানান শাইনপুকুর তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো.আলী আকবর।নিহত মো.ফয়সাল হোসেন উপজেলার মুকসুদপুর ইউনিয়নের শান্তিনগর গ্রামের মজনু শেখের ছেলে। এদিকে,ফয়সালের মৃত্যুর ঘটনায় বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার সকালে ঢাকা দোহার আতœ:জেলা মহাসড়কে প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে মানববন্ধন ও আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার- বিচারের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে তার স্বজনরা ও এলাকাবাসী। এ হত্যাকান্ডকে ঘিরে মুকসুদপুর-শাইনপুকুর এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,দীর্ঘ তিন বছর আগে উপজেলার মুকসুদপুর ইউনিয়নের শান্তিনগর গ্রামের মজনু শেখের ছেলে নিহত ফয়সালের বড় ভাই প্রবাসী রিপন শেখের সাথে পার্শ্ববর্তী শ্রীনগর উপজেলার বরিবরখোলা গ্রামের শেখ মনাইয়ের মেয়ে মুন্নি আকতারের সাথে বিয়ে হয়।পারিবারিক বনিবনা না হওয়াতে বছর খানেক পর তাদের দুইজনের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে।এ ঘটনায় উভয় পরিবারের মাঝে দ্বন্দ চলছিল।গত বুধবার বিকেলে নিহত ফয়সাল স্থানীয়ভাবে আয়োজিত একটি ফুটবল খেলার মাইকিং করতে অটোরিক্সাযোগ শাইনপুকুর তিন দোকান ফরিদ মিয়ার খামারের সামনে যায়।এ সময়ে ফয়সালের বড় ভাই রিপনের সাবেক স্ত্রী মুন্নির পরিবারের লোকজনের সাথে প্রথমে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ফয়সালকে ধরে রাস্তায় প্রকাশ্যে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়। এ সময়ে মাথায় আঘাত পাওয়া পড়ে থাকা ফয়সালকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।এ ঘটনায় সংবাদ পেয়ে দোহার থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।নিহত ফয়সালের পরিবারের দাবি, পারিবারিক ঘটনাকে কেন্দ্র করেই ফয়সালকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন বলেন,প্রাথমিকভাবে জানা যায় নিহত ফয়সালের বড় ভাই রিপন হোসেনের সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার সাবেক শশুরবাড়ির লোকজনেরা পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়ে মাথায় আঘাত করে গুরুত্বর জখম করে।এক পর্যায়ে রাস্তায় পড়ে থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু ঘটে।হত্যার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে,গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment